বনবাস
বনবাস
আমিও একই দোষে দুষ্ট সুহাসিনী
শর্করা অধিক সেবন করে ভাবি ব্রহ্মজ্ঞানী
শর্করা অধিক সেবন করে ভাবি ব্রহ্মজ্ঞানী
পিপিলিকার মতো এই প্রজন্ম গ্রাস করে
বুকের স্পন্দন ওঠে নামে উপত্যকার গহ্বভরে
তোমার আমার আর নয়
বেশি, বড়ো বেশি ক্ষতি ক্ষয়
তোমার ত্রিকোণমিতি মেনে তুমি বারবার আসো
অচেনা যোগবিয়োগের দৃষ্টান্তস্বরূপ কক্ষপথে ভাসো
চেনা বীজ -গণিতের সমাপ্তির নিশ্চয়তা জানি
গ্রাম দিয়ে শহর ঘিরবে বলে
তোমার আমার ছেলেরা গেছে বনে
সচেতন সজ্ঞানে
তবু কারণে অকারণে,
আজও ছিন্নভিন্ন নাবিক ওই খালাসিটোলায়
বুকের উপর মহাকাল নিয়ে নিদ্রাপথে যায়
তখন অনেক কথা বলার থাকে- মহাশূন্যজুড়ে
স্টেনসিল দিয়ে লেখা হয় অকুল পাথারে
কমল সূর্যের যাত্রাকালে ইথারের ছায়াভরে
চিন্তাতীত বসন্তের বজ্রপাত ঘটে যায় আকস্মিকতার তরে
তারপর কোনো মুহূর্তে আমিও দোষদুষ্ট সুহাসিনী
তোমার আমার ছেলে গেছে বনে, আমি জানি
পানপাত্র পরে আছে লিকার ও লেকচার
দমবন্ধ কালরাত্রে যদি এগিয়ে আসে নতুন কোনো ফিউচার
তারই সন্ধ্যালোকে ক্যারিকেচার গর্ভচ্যুত হলো -
অবশেষে বন্দুকের নল তাক করে বহু বেলুন ফাটালো।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর ১৯/০৯/২০২০
Comments