আলোরা যৎসামান্য

 


[১]

আলোরা যৎসামান্য পিড়িং করে গেলে
ধূসরতা নয়, মাছের নির্লোভ চোখের
জলে দেখেছি আলকাতরার স্রোত---
চোখের হাড়মজ্জা হাতে নিয়েছি চ্যাটচ্যাটে
পীচের অন্ধকার বল, নক্ষত্রখসা ছাইয়ের
ভেতরে যেটুকু রস থাকে থাকলো আপেলের
অংকুরোদ্গমের সময় ধূসরতা আর তাই
সমাপ্তির পর্বে চোরে চোরে মাসতুতো ভাই।

[২]

শ্যাওলার থেকে কতিপয় সঞ্চয়
শুঁড়ে নিয়ে যায়
কাফনে ওড়ায়
যাত্রাবার্তায়
এক মথ
ভঙ্গুর সময় আছে পড়ে অভাগা পথ
রাস্তার গ্লানিও এদিন ক্ষয়ে যায়
মূর্খ রথী অশ্বের বিপরীতে ছোটায়
ক্ষমতার খ্যাড়খ্যাড়ে রথ।

[৩]

কর্নিয়ার শাখজুড়ে বজ্র নামে নিনাদপুরে
স্নায়ুতন্তুবাহগুলি রিবনের মতো জড়ায় পোড়া জঠরে
নিশানার গন্ধ পেয়ে দলছুট হরিণ কবি গান ধরে
খুনের সময় এসেছে বনের নান্দনিক শাখাশিকড়ে
বাআআআআজে করুণওঁওঁওঁওঁ সুরেএএএএএএ....

সন্দীপ চক্রবর্তী
কসবা, কলকাতা
৩০-১২-২০১৬

(চিত্রসূত্র: সালভাদোর দালি, এটোমিকাস)

Comments

Popular posts from this blog

Ludvik

Memory of Yangzi