Posts

  সারা রাত তিমিরবরণ হয়ে থাকে মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হলেও স্বপ্ন, অনুভূতিগুলো জ্বলে যায় না। ঘুরেফিরে ছাইয়ের মতো মাটিতে এসে পড়ে আমার ভেতরে অনেক মেঘ জমে আছে আমার বাবা মার মৃত্যুহীম বিয়োগ ক্রমে ক্রমে যোগ হয়ে যায় আমি তাদের শরীরের স্বাদ পাই খাঁচার ভেতরে অদৃশ্য ইমারত তারা আমার শরীরটাকে পেঁচিয়ে ধরে মন্ত্রমুগ্ধ আমি খাচাটাকে সম্বল করে ইথারের তরঙ্গে ফেননিভ ভাসতে থাকি শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ নিজ মন মুকুরু সুধারি অক্সিজেন চলাচল করে এই জন্মের লোহিত কণিকারা দৌড়ায় পঞ্চভূতের এই জাল আমাকে ছেঁকে নেয় সঠিক মাত্রায় ফোটানোর পরে যেমন চায়ের গন্ধ নাকে আসে। সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ৭/২/২০২৪
  আমি লিখতে পারিনা মেঘ সরতেই তুমি এলে ঘরে। আমি লিখতে পারিনা কল্যাণীয়া "ডি": তোমার চিঠি বারবার পড়লাম। আমি রবীন্দ্রনাথের মতো রিএকশনারি অমিত রে নোই। এখনো উত্তর কলকাতার গলিগুলোতে ঢুকলে কাপড় কাচা সাবানের গন্ধে আমার গা গুলিয়ে ওঠে। এখনো আমি লাশগুলো গুনে উঠতে পারিনি। আমার দুআঙুলের ফাঁক দিয়ে হুহু করে পেরিয়ে যাচ্ছে সময় অথচ একটাও কবিতা তোমায় সমর্পন করতে পারলাম না। আমার সঞ্চয় সত্তরের দশকের একটি রিভলভার আর কিছু কার্তুজ। আমার অন্তঃকরণের চিৎকারের মধ্যেই ভারতবর্ষ রামরাজ্য হতে চলেছে। আমার শ্রমিকের দলগুলির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধর্মের আফিম। চেয়ারম্যান, আমি কিছু করতে পারছিনা, আমার পাঠকেরা আমার থেকেও জ্বরাগ্রস্ত। সুপর্ণারা একে একে আমার মতো ভীষণ একলা হয়ে যাচ্ছে। আমি এই ভন্ড, মেকি ধর্মের দেওয়াল ধ্বংস করবো, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চিতায় উঠবো। সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ১/২/২০২৪
  আকাশের দিকে চিঠি লিখতে গিয়ে সেই চিঠি গিয়ে পড়লো মোদির কাছে এর পরেও নির্লজ্জের মতো লাল কেল্লা থেকে দেবে বক্তৃতা মুসলিম রাষ্ট্রের মতো রামরাজ্য তৈরী হয়েছে তন্দ্রার মধ্যে আমি ছটফট করে উঠি এ কোন ভারতবর্ষ নির্মিত হচ্ছে মনে পরে যায় স্তালিনকে কবরে পুঁতে দিচ্ছে ক্রুশ্চেভ, ব্রেজনেভ দাড়াও পথিকবর জন্ম যদি তব ভারতবর্ষে , একটু দাঁড়িয়ে দেখো তোমার স্বপ্নের চিঠিগুলো টয়লেট পেপারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে আমি ছুটে ছুটে যাচ্ছি শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের কাছে আমি যাচ্ছি ট্রটস্কির কাছে, মহামতি লেনিনের কাছে, মাওয়ের কাছে আমার বন্দুকে ভোরে দাও গুলি আমি এর প্রতিশোধ নেবো। ধর্ষিতা আমার প্রিয়তমা দেশ ধর্ষিতা ভারত মাতা কোথায় যাচ্ছি আমরা? সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ২৮/১/২০২৪
Image
কত তাবড় তাবড় চলে গেলো  দেওয়ালে টিকটিকিটাও বলে গেলো  পৃথিবীর ভারকেন্দ্র গড়িয়ে গেলো  ডানদিক আরো স্ফীত হলো। আর আমার কোনো নেই অভিযোগ  আকাশে রামধনু শুধু যোগ ও বিয়োগ  টোনাটুনির আলো নিয়ে খেলছে জোনাকি  সুসানের হাত ধরে আমি শুয়ে থাকি  ভাবতরঙ্গে চোখের জলে দুলে চলে আলো  অদ্ভুত এই বীজগণিত আকাশভরা কালো  জীবনে এই প্রথম অদ্ভুৎ লজ্জা এলো  এ জীবনে উষ্ণতর যা কিছু ছিল  স্লোগানে স্লোগানে চীল ডানা ঝাপটালো  স্টেনসিল দিয়ে আঁকা যত রেড বুক  আজীবনের ছবি থাকলো লাল টুকটুক নীল নয়নের কোণে মাঠঘাট পেরিয়ে  আহ্বান চলে যায় ভরা ডুব দিয়ে  কবিতার গ্রাম দিয়ে শহর কে ঘেরো  বাণপ্রস্থের পথে আঃ কি গেরো  তবু মাঝিমাল্লা লাল সমুদ্র পেরিয়ে যায়   ধীরে ধীরে নেশা ভাঙে খালাসিটোলায়    কবিতার বই হাতড়ে আমি পদ্য খুঁজি  এই বেশ ভালো লাগে সারপ্লাস পুঁজি চারিদিকে গর্জায় হল্ট, ফায়ার  প্রেমহীন নদী পথে আসবে জোয়ার  তুমি আসবে বলে চঞ্চল রিভারবেড গান শুনিয়ে যায় সেই চেনা কমরেড।   সন্দীপ চক্রবর্তী  শ্রীরামপুর  ১৭/৭/২০২৩      
  গোরস্থানে, হাইড্রেনের তলায় শুয়ে পড়ে আছো জেনেও অভ্যাসবশে, কুয়াশায় পা রাখি ঠুলি চোখে দেখি ক্রমশ দূরে আরো দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে কপালের রেখা তবু সুখ শর্করায় ডুবে থাকি আমার ইস্তেহার কবে কার্বন হয়ে গেছে তোমাকে যেদিন ঘরে এনেছিলাম অগ্নিসাক্ষী করে, ভেবেছি তুমি সর্বস্ব নুড়ি পাথর বিকিয়ে অশ্বত্থের ঝুড়ি হয়ে যাবে সেদিন তোমার আগ্নেয়াস্ত্রে হাত পড়েছিল আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম নাগরদোলায় আজ বালির ভেতরে মুখ গুঁজে তৃষ্না নিয়ে আমি শোষক আমি আমার ভেতরে শুষে গেছি কথা ছিল কবিতার গ্রাম দিয়ে কবিতার শহর ঘেরার কবিতার হাইড্রোসিলে মলম লাগাতে গিয়ে ভাবি: অভ্যাসবশে, কুয়াশা কেটে গেলে দেখি শহরের চারটে বিকৃত পা আর জিভ কবিতার গ্রামে থাবা বসিয়ে গেছে। কাল হয়তো আমি গ্রাম থেকে ফেরার হবো গ্রামান্তরালে অভ্যাসবশে কুয়াশা থেকে চোখ তুলে দেখাটাও রিএকশনারি নিজস্ব সংবাদদাতা, সন্দীপ চক্রবর্তী।
Image
 আমি ও শঙ্খচীল   শঙ্খচীল এসে নেমেছে লাল ঝান্ডায় পীচরাস্তা সোজা চলে গাছে সমুদ্রের দিকে যেখানে লাল সূর্য ডুবছে একটু একটু করে আমারো তো সূর্য মাথার থেকে সরে গেছে পূবদিকে শুধু নিয়নের হাতছানি। ও বাবু! একবার আসবেন নাকি?এই জুঁইফুল আমি চিনিনা হাসপাতালের আলোগুলো সব নিভে গেলে যেমন পুলিশটা বেঞ্চে গা এলিয়ে দেয় আর আমি নিঃশব্দ পদচারণা করি... আমার প্রিয় সাথীরাও ঘুমিয়ে পড়েছে মৈথুনরত সমুদ্রের ধরে, খালাসিটোলায় আমি একা। আর শংখচীল আকাশ প্রদক্ষিণ করে অনাথ আশি, নব্বই সালের কথা ভাবছে তাও কি মানবজমি আবাদ করবে না কেউ? আমার বন্ধু কমরেড দেশ ছেড়ে চলে গেছে খোঁচর পুলিশ ডান্ডা রেখে খৈনি বানায় তবুও "শুধু কি পচনশীলতা? বীজও আছে। একবার ডেকে দেখো কমরেড বলে দুজনেও সংগঠন হতে পারে সংকটকালে" এখন শুধু আমি আর শংখচীল একা সমুদ্র তার সব ক্ষোভ উগরে দেয় হায় চীল, আমার চেম্বারে একটাই গুলি আছে আর আছে খসে পড়া কবিতাদির বাড়ি রাতে শূন্য, শুধু শূন্যের আকাশে দেখি মহাকাল আমি কি মুক্ত? দড়িটা আলগা হয়ে এলো? রাতের খাবার জেলের কোনে সরিয়ে রাখি সার্ত্রে বলেছিলো কলম রেখে পিস্তল নিতে আমি পিস্তল রেখে লিখছি, কালো কালিতে রিক্সাওয়ালাটা চুল্লু খে