কৃষ্ণকলি, কোন জ্যামিতিতে আমি তাঁরে কালো বলি?

 [১]


রাখাল রাখা আছে মৃত জ্যামিতিক প্রান্তরে। গভীর গাভীর করোটি থেকে অনর্গল পিঁপড়ে। স্রোতের একের পর এক মিনারে, দৃষ্টি অবশিষ্ট মাংসালো জাগতিক উপাদানের। জ্যামিতির ব্যাসার্ধগুলি ছেদ করে সার্চলাইটের ট্রাজেক্টরি ঘুড়ির সুতোর মত কাটাকুটি খেলা, গুনগুন করে ভ্রমরে ভ্রমরে।

[২]

পাগলা সাইকেল চালায় আর আছে ডাব। গ্রহপুঞ্জের মত থোকা আঙ্গুর যেমন। ব্রহ্মাণ্ডও সংগঠিত জরায়ু। এখানে মিছিল চলে রেসালট্যান্ট ভেক্টর ফোর্সএ, অর্থাৎ সর্বসম্মতিক্রমে। যেমন অগ্নিকণিকারা পরস্পরের সহযোগিতায় নৃত্যনাট্য করে।

[৩]

অগ্নিময়তাই দৃশ্যময়। বস্তূবাদ ও ভাববাদকেও নিজেদের প্রোজ্জ্বল রাখতে হয়। কোনো নিরলস কারনে প্রাগৈতিহাসিক ডিমের খোলস কচ্ছপের রাজনীতি শেখেনি। একলব্যের মত রাখাল রাখা আছে মৃত জ্যামিতিক প্রান্তরে। জ্যামিতিতে সে তার বুড়ো আঙ্গুল জুড়ুক। আমার প্রার্থনা।

[৪]

অগ্নিদগ্ধ পাঠক। আপনারা প্রায় সকলেই কৃষ্ণকলি হয়েছেন। তাই আমার একান্ত আশা: একলব্যকেও বুঝবেন। ও দ্রোণাচার্য্য তথা মহাভারত আর একবার পড়বেন। তারপর যত খুশি গীতবিতান পড়ুন ও বোঝান।

সন্দীপ চক্রবর্তী
কসবা, কলকাতা
৪-১০-২০১৬

Comments

Popular posts from this blog

Ludvik

Memory of Yangzi