এখনো মন সহস্র চোখের ন্যায় সাঁতরে বেড়ায়
জমাট লাল পাথরের মতো পশ্চিমে ডুবে যায়
কেই বা আসে কে বা যায় সন্ধ্যার দিকে সাঁতরাতে
নদীটির ওপর দিয়ে ট্রেনের যাত্রা গজরাতে গজরাতে
এখনো পতাকা উড্ডীয়মান
এখনই মাথার ভিতরে রক্তবর্ণের সজ্ঞান
সবাই, নিউরোনগুলি পেঁচিয়ে চিৎকারে খানখান
লিফলেটে, ধীরে বাম থেকে বাম আওয়াজে গতিবেগ
বাড়িয়ে কমিয়ে এখনো মন চলমান
সহস্র চোখের অগ্নিগর্ভ দৃষ্টি
শান্তির ধারা জড়িয়ে ধরে যত অনাসৃষ্টি
সারারাত ব্যাপী আকাশ কবিতার জঠরে
এখনো শিশুর মতো ভালোবেসে,
সন্ধ্যাশেষে
কে স্টেনসিলে লিখে চলে মহানগরীর প্রতিটি দেয়ালে
সহস্র চোখের মণি জ্যামিতির মতো একে অপরকে
লেফট লেফট সহস্র নাম জপ করে দিকে দিকে
লাল রঙের বিস্ফোরণে ক্রমাগত চোখেরা ঘূর্ণিপাকে
আবির রঙের মুখ-উজ্জ্বল ছেলে আর মা
এই বিশ্বরূপে প্রত্যেক কবিতা হয়ে ওঠে চিরন্তন ভোর
এই অক্ষয় বিশ্বাসে সবুজ আরো সবুজ
হয়ে ওঠে সারা রাত জেগে থাকার পর
প্রিয় কমরেডের চিঠি , মুষ্ঠিবদ্ধ হাত সিংহের পরাক্রমে
বলে, তোরা যতই যা কর, রাত্রি যাপনের পর
মাকড়সার লালা থেকে আলোর জমাট সকালে
শত কৃষকের মুষ্ঠিবদ্ধ হাত প্রতিরোধ গড়ে তোলে ।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর,
২২-০৯-২০২০
Comments