বেশিদূরে আমি ধাই না
বেশিদূরে আমি ধাই না
-------------------------- -------------------------- -------------------------- -
[১]
গ্রহনক্ষত্রপুঞ্জ ইথারে ডুব দিলে জেগে থাকে মহাকাশ।
মানুষও ঘূর্ণমান মশারিব্যাপ্ত বটগাছ জুড়ে। পাকস্থলীর
শিকড়, আগ্রাসী খাল, বিল, নদীনালা আর মিথেনের অরূপশহরে।
[২]
জানিনা তড়িৎচুম্বকীয় অনুভব কেন এত আকর্ষণ করে
যে মৎস্য পরাজয়ে ডিম্বাণু ছেড়ে চলে গেছে জরায়ুর তন্দ্রালোকে,
তার ভূতপূর্ব ছটফটানি আমায় বলে জানি জানি
মাংসাতুর লালা ঝরিয়ে কোনোদিন কসাইখানায় যাওনি?
তবু আমার এই বুদ্ধিহানি - ভেবে হয়তো ওরা ত্রিভুজের নাম রেখেছে স্বর্গরথ।
[৩]
গম্ভীর নদীর গাত্রপ্রবাহে খিলখিল করে যায় অগুনতি ওষ্ঠের হাসি।
সেই হাসি অট্ট, দুর্বিপাকে পড়া আকাশে, তখন রেসের ময়দান
করতালিতে ফেটে পড়ছে। ফেটে কি পড়ছে? পোড়াকাঠ কি ফাটছে?
মাঝি জানে। যে নদীময় প্রদক্ষিণরত। ডোম জানে, চুল্লুপানেও বসন্তের
মত জাগ্রত। ঝরাদেহের প্রহরী। ঝরে পড়া নদীনালা, তরঙ্গের উৎখাত লহরী।
[৪]
বেচারা সময়! রক্তবাহের অন্ধ গলিপথে পাকস্থলী থেকে পৌঁছেছে হৃদয়
চাষা প্রাণপণ চষে যায় শেষের কবিতা। নিদেনপক্ষে লাবন্যঅন্ধকারে
বনলতা। আঁচড় কাটে শুঁড়িখানার শেষ পদযাত্রী। চোখে তার তড়িৎচুম্বকের
গোধূলিরেখা। গণিত প্রচ্ছদ বানায়, বাইফোকালে সাঁতার কাটে প্রসিদ্ধ গণিকা।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর
৩-১২-২০১৩
(চিত্রসূত্র: পল ক্লী: গোল্ডেন ফিশ)
--------------------------
[১]
গ্রহনক্ষত্রপুঞ্জ ইথারে ডুব দিলে জেগে থাকে মহাকাশ।
মানুষও ঘূর্ণমান মশারিব্যাপ্ত বটগাছ জুড়ে। পাকস্থলীর
শিকড়, আগ্রাসী খাল, বিল, নদীনালা আর মিথেনের অরূপশহরে।
[২]
জানিনা তড়িৎচুম্বকীয় অনুভব কেন এত আকর্ষণ করে
যে মৎস্য পরাজয়ে ডিম্বাণু ছেড়ে চলে গেছে জরায়ুর তন্দ্রালোকে,
তার ভূতপূর্ব ছটফটানি আমায় বলে জানি জানি
মাংসাতুর লালা ঝরিয়ে কোনোদিন কসাইখানায় যাওনি?
তবু আমার এই বুদ্ধিহানি - ভেবে হয়তো ওরা ত্রিভুজের নাম রেখেছে স্বর্গরথ।
[৩]
গম্ভীর নদীর গাত্রপ্রবাহে খিলখিল করে যায় অগুনতি ওষ্ঠের হাসি।
সেই হাসি অট্ট, দুর্বিপাকে পড়া আকাশে, তখন রেসের ময়দান
করতালিতে ফেটে পড়ছে। ফেটে কি পড়ছে? পোড়াকাঠ কি ফাটছে?
মাঝি জানে। যে নদীময় প্রদক্ষিণরত। ডোম জানে, চুল্লুপানেও বসন্তের
মত জাগ্রত। ঝরাদেহের প্রহরী। ঝরে পড়া নদীনালা, তরঙ্গের উৎখাত লহরী।
[৪]
বেচারা সময়! রক্তবাহের অন্ধ গলিপথে পাকস্থলী থেকে পৌঁছেছে হৃদয়
চাষা প্রাণপণ চষে যায় শেষের কবিতা। নিদেনপক্ষে লাবন্যঅন্ধকারে
বনলতা। আঁচড় কাটে শুঁড়িখানার শেষ পদযাত্রী। চোখে তার তড়িৎচুম্বকের
গোধূলিরেখা। গণিত প্রচ্ছদ বানায়, বাইফোকালে সাঁতার কাটে প্রসিদ্ধ গণিকা।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর
৩-১২-২০১৩
(চিত্রসূত্র: পল ক্লী: গোল্ডেন ফিশ)
Comments