করোটির কবিতা
করোটির কবিতা
--------------------------
জানালার গর্ভে ক্ষয়িষ্ণু আকাশ, ঘোরাফেরা
ফাঁকা তো লাগবেই, চাঁদের ফালাফালা বাতাস
তদুপরি তরল হয়ে গেলে জ্যোৎস্নাও শান্ত অগ্নি
এক্ষেত্রে পাঠককে সৌন্দর্য্যের একধাপ ওপরে
সেতারের তারগুলোর রিনিঠিনি শ্রবণের অভ্যাস প্রয়োজন
গঙ্গাবক্ষে কৌমার্য্য কৃষ্ণচূড়ার মতো ঝরে
মৃত শহীদদের বাজানো সেতার
তিনভাগে ভাগ করা যেতে পারে, নিশ্চিহ্ন হবার সময়:
১. লম্বচ্ছেদ, ২. প্রস্থচ্ছেদ, ৩. তড়িৎচ্ছেদ
পাঠক, এত টিপটিপ করে ঝরলাম
কারন, সময়ের ত্রিশূল: আপনি, আমি কেউই হজম করতে পারিনি
তদুপরি আমি চতুর্ভূজা, রক্তজবার মত জিহ্বা, মুণ্ডপরিহিতা
এবং পদতলে স্থান, কাল ও পাত্র,
ব্রহ্মের এই অগণন ডিমের বিন্যাস নক্ষত্রময়
যে হাসতে হাসতে জরায়ুতে গ্রহন ও বর্জন করে
সন্ধ্যারতির মত উঁকি মারে করোটির কবিতা।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর
২৫-৯-২০১৬
(চিত্রসূত্র: রেমব্রাঁ, দ্য মিল)
Comments