একদিন যোগ বিয়োগ

 


একদিন যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ কে গুলি মারতে মারতে মারতে মারতে জানি চীনের প্রাচীরে সুপর্ণার কাছে পৌঁছে যেতে পারি পারি জিলেট ও জিব্রাল্টার অন্ধকার কে কোণ দিয়ে ফালাফালা করে সূর্যাস্তের ঘরে বোড়েটাকে রেখে অন্ধকারে দাবা জিততে নদীর উৎসমুখ আকাশগঙ্গার দিকে কর্পোরেশনের হোসপাইপের মতো উঁচু করে তুলে ধরতে পারি নদীগাত্রে অসংখ্য তারাকে ব্যাবিলনের চুমকির মতো বসাতে পারি আমি।
পারি আমি এলিয়টের বিষফোড়ায় মলম লাগিয়ে দিতে সরোজদাকে লাখো লাখো সেলাম জানিয়ে ভাগীরথীর গর্ভে গিয়ে সাঁতার দিতে পারি আমি চে গুয়েভারার কোমরের দড়ি বেয়ে কিউবায় পৌঁছে যেতে পারি নিক্সন কে, বা ম্যাকডোনাল্ড ট্রাম্পকার্ডকে একশো দুশো পাঁচশো কোটি ডলারের সমান্তর প্রগতিতে লাথি মেরে খালাসিটোলায় সমুদ্রের ঢেউ খেয়ে পেট ভরিয়ে নিতে পারি আমার।
এতসব কর্মকান্ড সুপর্ণা নয় নিজের রেললিংটা উপড়ানোর জন্য যদিও সুপর্ণা পাগলাকে বলবে আর একটা গান গাও।
ওই চোখে দেখেছি মশালের এক খোঁচা তাই খোঁচরদের ভাগিয়ে দিয়ে ডোমেদের কাছে এসে গেছি আমি সমুখে লেনিনের শীতল হাত মাথায় - শান্তি পারাবার।

সন্দীপ চক্রবর্তী
বম্বে
২৬-৩-২০১৭
(চিত্রসূত্র: গুলাম রসূল সন্তোষ)

Comments

Popular posts from this blog

Looking at the hat

Ludvik

Memory of Yangzi