গোরস্থানে, হাইড্রেনের তলায়

শুয়ে পড়ে আছো জেনেও
অভ্যাসবশে, কুয়াশায় পা রাখি
ঠুলি চোখে দেখি
ক্রমশ দূরে আরো দূরে
মিলিয়ে যাচ্ছে কপালের রেখা
তবু সুখ শর্করায় ডুবে থাকি
আমার ইস্তেহার কবে কার্বন হয়ে গেছে
তোমাকে যেদিন ঘরে এনেছিলাম
অগ্নিসাক্ষী করে,
ভেবেছি তুমি সর্বস্ব নুড়ি পাথর বিকিয়ে
অশ্বত্থের ঝুড়ি হয়ে যাবে
সেদিন তোমার আগ্নেয়াস্ত্রে হাত পড়েছিল
আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম নাগরদোলায়
আজ বালির ভেতরে মুখ গুঁজে
তৃষ্না নিয়ে আমি শোষক
আমি আমার ভেতরে শুষে গেছি
কথা ছিল কবিতার গ্রাম দিয়ে কবিতার শহর ঘেরার
কবিতার হাইড্রোসিলে মলম লাগাতে গিয়ে ভাবি:
অভ্যাসবশে, কুয়াশা কেটে গেলে দেখি
শহরের চারটে বিকৃত পা আর জিভ
কবিতার গ্রামে থাবা বসিয়ে গেছে।
কাল হয়তো আমি গ্রাম থেকে ফেরার হবো
গ্রামান্তরালে
অভ্যাসবশে কুয়াশা থেকে চোখ তুলে
দেখাটাও রিএকশনারি
নিজস্ব সংবাদদাতা,
সন্দীপ চক্রবর্তী।

Comments

Popular posts from this blog

Ludvik

Memory of Yangzi