গোরস্থানে, হাইড্রেনের তলায় শুয়ে পড়ে আছো জেনেও অভ্যাসবশে, কুয়াশায় পা রাখি ঠুলি চোখে দেখি ক্রমশ দূরে আরো দূরে মিলিয়ে যাচ্ছে কপালের রেখা তবু সুখ শর্করায় ডুবে থাকি আমার ইস্তেহার কবে কার্বন হয়ে গেছে তোমাকে যেদিন ঘরে এনেছিলাম অগ্নিসাক্ষী করে, ভেবেছি তুমি সর্বস্ব নুড়ি পাথর বিকিয়ে অশ্বত্থের ঝুড়ি হয়ে যাবে সেদিন তোমার আগ্নেয়াস্ত্রে হাত পড়েছিল আমি লাফিয়ে উঠেছিলাম নাগরদোলায় আজ বালির ভেতরে মুখ গুঁজে তৃষ্না নিয়ে আমি শোষক আমি আমার ভেতরে শুষে গেছি কথা ছিল কবিতার গ্রাম দিয়ে কবিতার শহর ঘেরার কবিতার হাইড্রোসিলে মলম লাগাতে গিয়ে ভাবি: অভ্যাসবশে, কুয়াশা কেটে গেলে দেখি শহরের চারটে বিকৃত পা আর জিভ কবিতার গ্রামে থাবা বসিয়ে গেছে। কাল হয়তো আমি গ্রাম থেকে ফেরার হবো গ্রামান্তরালে অভ্যাসবশে কুয়াশা থেকে চোখ তুলে দেখাটাও রিএকশনারি নিজস্ব সংবাদদাতা, সন্দীপ চক্রবর্তী।
Posts
Showing posts from June, 2022
- Get link
- X
- Other Apps
আমি ও শঙ্খচীল শঙ্খচীল এসে নেমেছে লাল ঝান্ডায় পীচরাস্তা সোজা চলে গাছে সমুদ্রের দিকে যেখানে লাল সূর্য ডুবছে একটু একটু করে আমারো তো সূর্য মাথার থেকে সরে গেছে পূবদিকে শুধু নিয়নের হাতছানি। ও বাবু! একবার আসবেন নাকি?এই জুঁইফুল আমি চিনিনা হাসপাতালের আলোগুলো সব নিভে গেলে যেমন পুলিশটা বেঞ্চে গা এলিয়ে দেয় আর আমি নিঃশব্দ পদচারণা করি... আমার প্রিয় সাথীরাও ঘুমিয়ে পড়েছে মৈথুনরত সমুদ্রের ধরে, খালাসিটোলায় আমি একা। আর শংখচীল আকাশ প্রদক্ষিণ করে অনাথ আশি, নব্বই সালের কথা ভাবছে তাও কি মানবজমি আবাদ করবে না কেউ? আমার বন্ধু কমরেড দেশ ছেড়ে চলে গেছে খোঁচর পুলিশ ডান্ডা রেখে খৈনি বানায় তবুও "শুধু কি পচনশীলতা? বীজও আছে। একবার ডেকে দেখো কমরেড বলে দুজনেও সংগঠন হতে পারে সংকটকালে" এখন শুধু আমি আর শংখচীল একা সমুদ্র তার সব ক্ষোভ উগরে দেয় হায় চীল, আমার চেম্বারে একটাই গুলি আছে আর আছে খসে পড়া কবিতাদির বাড়ি রাতে শূন্য, শুধু শূন্যের আকাশে দেখি মহাকাল আমি কি মুক্ত? দড়িটা আলগা হয়ে এলো? রাতের খাবার জেলের কোনে সরিয়ে রাখি সার্ত্রে বলেছিলো কলম রেখে পিস্তল নিতে আমি পিস্তল রেখে লিখছি, কালো কালিতে রিক্সাওয়ালাটা চুল্ল...