আমি ও শঙ্খচীল
শঙ্খচীল এসে নেমেছে লাল ঝান্ডায়
পীচরাস্তা সোজা চলে গাছে সমুদ্রের দিকে
যেখানে লাল সূর্য ডুবছে একটু একটু করে
আমারো তো সূর্য মাথার থেকে সরে গেছে
পূবদিকে শুধু নিয়নের হাতছানি। ও বাবু!
একবার আসবেন নাকি?এই জুঁইফুল আমি চিনিনা
হাসপাতালের আলোগুলো সব নিভে গেলে
যেমন পুলিশটা বেঞ্চে গা এলিয়ে দেয়
আর আমি নিঃশব্দ পদচারণা করি...
আমার প্রিয় সাথীরাও ঘুমিয়ে পড়েছে
মৈথুনরত সমুদ্রের ধরে, খালাসিটোলায়
আমি একা। আর শংখচীল আকাশ প্রদক্ষিণ করে
অনাথ আশি, নব্বই সালের কথা ভাবছে
তাও কি মানবজমি আবাদ করবে না কেউ?
আমার বন্ধু কমরেড দেশ ছেড়ে চলে গেছে
খোঁচর পুলিশ ডান্ডা রেখে খৈনি বানায়
তবুও "শুধু কি পচনশীলতা? বীজও আছে।
একবার ডেকে দেখো কমরেড বলে
দুজনেও সংগঠন হতে পারে সংকটকালে"
এখন শুধু আমি আর শংখচীল একা
সমুদ্র তার সব ক্ষোভ উগরে দেয়
হায় চীল, আমার চেম্বারে একটাই গুলি আছে
আর আছে খসে পড়া কবিতাদির বাড়ি
রাতে শূন্য, শুধু শূন্যের আকাশে দেখি মহাকাল
আমি কি মুক্ত? দড়িটা আলগা হয়ে এলো?
রাতের খাবার জেলের কোনে সরিয়ে রাখি
সার্ত্রে বলেছিলো কলম রেখে পিস্তল নিতে
আমি পিস্তল রেখে লিখছি, কালো কালিতে
রিক্সাওয়ালাটা চুল্লু খেয়ে খিস্তি দিচ্ছে
আর আমি স্থিতধী মুনিপ্রবর হয়ে স্থানু হয়ে আছি
কবিতাদি এবার তুমি আমাকে ডেকে নাও
শংখচীল তার পালক খসা ডানা ঝাপটাক
আর কমরেড লেনিনের আহ্বান শুনুন
বছরে একবার। ধন্য বাম। আরো ধন্য হাওয়াই চপ্পল
আমি গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার করে পড়বো
আবার বছর কুড়ি পরে, যদি দেখা হয় শঙ্খচীল
তুমি আমি আর আকাশে চাঁদের কাস্তে।
সন্দীপ চক্রবর্তী
শ্রীরামপুর
১১/৬/২০২২
Comments