Posts

টুকরো টুকরো কথা

  একটি শিশুহত্যা হল শুধু সে রুটি চুরি করেছিল খুনির দল একে একে সব বাড়ি ফিরে গেল কারন তাদের সবার ছেলেমেয়ে আছে ভরপেট না খেয়েও তারা রাজকর দিচ্ছে শিশুটি কি দোষ করল? রাস্তা দিয়ে পিপড়ের মত মিছিল মানুষ পিটিয়ে মারার সময় কেন এত চোখ বুজে? কোথায় তার অস্তিত্বের সংকট কোথায় তার সমষ্টির সংকট কখন সে খুনি জল্লাদ কখন সে বুক চাপরে বরবাদ আমি দেখি মানুষ বেঁটে, আরও বেঁটে হয় রাষ্ট্রের সামনে প্রতিদিন, প্রতিনিয়ত এও দেখি সে কিং কং হয়ে কংসলীলা দেখিয়ে বেড়াচ্ছে শুধু সুযোগের আপেক্ষায় রাষ্ট্রের অপরাধ হলে মানবিকতা মেনে মৌনমিছিল বেরিয়েও রাষ্ট্রের চৌকাঠের এক ক্রোশ দূরে থেমে যায় পাঠক, ভাবুন মানুষ কতটা হেটেরো স্যাপিএন্স হতে পারে এর সাথে এটাও ভাবুন এই মানুষেরা গণতন্ত্র করে কাকে আনতে পারে আরও বেশি করে ভাবুন একটা বাচ্চা মরে গেলে রাষ্ট্রের কি ছেঁড়া যায়। আর গণতন্ত্র যা কিনা একটি পলিটিকাল ব্যান্ডপার্টি তার কোন কোন জায়গা চুলকে ওঠে। সন্দীপ চক্রবর্তী কলকাতা ২২/৭/২০১৬

Fernando

Midnight calls me every moment I come down to the road Silence throughout the building I touch your hair, your lips You embed millions of grenades I smell the gunpowder you have preserved for long Corpses are burning and the smoke envelops me Few dogs are my scavenger poems I put the pages one by one into the flame Corpses set the pages free I am walking down since the seventies Have seen decapitated faces But I will protect you from these paper tigers You are gripping the banner The moon becomes a sharp sickle Silence! Mayakovsky has taken the floor. I read carefully each assignment of the dead ones The moon is not happy, stars too Corpses are burning and the guitar is played amidst tears The revisionist ones have opened their shops of religion You have given me the trigger and a knife I am making the knife sharper in the fire of corpses I love you, my dear girl   I will do the job when the fire will be blue I touch your forehead, your h
  বিয়াস কে আমি ভালোবাসতাম আজ বিয়াসকে নিয়ে সারা দুপুর আমি সাইকেল চালিয়ে নিয়ে গেছি কুড়ি বছর আগের মতো । আমার ভেতরে কার্ল মার্ক্স ভেবে যায় নদীর প্রবহমানতা সনাতন না আপেক্ষিক এত বছর বাদেও তার রঙ পাল্টায়নি আমি আর ধানক্ষেতে যাবো না এই সত্যকে এতদিন আগলে রেখেছিলাম আজ আলের ধারে জড়পিন্ড দেহ জড়িয়ে ধরে আমি এক অদ্ভুৎ সুখ পেয়েছি আকাশজুড়ে তখন মার্ক শাগালের প্রেমিকারা আমার সাইকেলে চড়ে চলে যাচ্ছে চারপাশ গোধূলীর রঙে মাখা। কাল চার্বাক জিজ্ঞেস করবে নীলপাহাড়ের মতো চেতনার কোনো রঙ আছে কি না। সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ২/৪/২০২৪
Image
 
  সারা রাত তিমিরবরণ হয়ে থাকে মৃতদেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হলেও স্বপ্ন, অনুভূতিগুলো জ্বলে যায় না। ঘুরেফিরে ছাইয়ের মতো মাটিতে এসে পড়ে আমার ভেতরে অনেক মেঘ জমে আছে আমার বাবা মার মৃত্যুহীম বিয়োগ ক্রমে ক্রমে যোগ হয়ে যায় আমি তাদের শরীরের স্বাদ পাই খাঁচার ভেতরে অদৃশ্য ইমারত তারা আমার শরীরটাকে পেঁচিয়ে ধরে মন্ত্রমুগ্ধ আমি খাচাটাকে সম্বল করে ইথারের তরঙ্গে ফেননিভ ভাসতে থাকি শ্রীগুরু চরণ সরোজ রজ নিজ মন মুকুরু সুধারি অক্সিজেন চলাচল করে এই জন্মের লোহিত কণিকারা দৌড়ায় পঞ্চভূতের এই জাল আমাকে ছেঁকে নেয় সঠিক মাত্রায় ফোটানোর পরে যেমন চায়ের গন্ধ নাকে আসে। সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ৭/২/২০২৪
  আমি লিখতে পারিনা মেঘ সরতেই তুমি এলে ঘরে। আমি লিখতে পারিনা কল্যাণীয়া "ডি": তোমার চিঠি বারবার পড়লাম। আমি রবীন্দ্রনাথের মতো রিএকশনারি অমিত রে নোই। এখনো উত্তর কলকাতার গলিগুলোতে ঢুকলে কাপড় কাচা সাবানের গন্ধে আমার গা গুলিয়ে ওঠে। এখনো আমি লাশগুলো গুনে উঠতে পারিনি। আমার দুআঙুলের ফাঁক দিয়ে হুহু করে পেরিয়ে যাচ্ছে সময় অথচ একটাও কবিতা তোমায় সমর্পন করতে পারলাম না। আমার সঞ্চয় সত্তরের দশকের একটি রিভলভার আর কিছু কার্তুজ। আমার অন্তঃকরণের চিৎকারের মধ্যেই ভারতবর্ষ রামরাজ্য হতে চলেছে। আমার শ্রমিকের দলগুলির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ধর্মের আফিম। চেয়ারম্যান, আমি কিছু করতে পারছিনা, আমার পাঠকেরা আমার থেকেও জ্বরাগ্রস্ত। সুপর্ণারা একে একে আমার মতো ভীষণ একলা হয়ে যাচ্ছে। আমি এই ভন্ড, মেকি ধর্মের দেওয়াল ধ্বংস করবো, এই প্রতিজ্ঞা নিয়েই চিতায় উঠবো। সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ১/২/২০২৪
  আকাশের দিকে চিঠি লিখতে গিয়ে সেই চিঠি গিয়ে পড়লো মোদির কাছে এর পরেও নির্লজ্জের মতো লাল কেল্লা থেকে দেবে বক্তৃতা মুসলিম রাষ্ট্রের মতো রামরাজ্য তৈরী হয়েছে তন্দ্রার মধ্যে আমি ছটফট করে উঠি এ কোন ভারতবর্ষ নির্মিত হচ্ছে মনে পরে যায় স্তালিনকে কবরে পুঁতে দিচ্ছে ক্রুশ্চেভ, ব্রেজনেভ দাড়াও পথিকবর জন্ম যদি তব ভারতবর্ষে , একটু দাঁড়িয়ে দেখো তোমার স্বপ্নের চিঠিগুলো টয়লেট পেপারের মতো ব্যবহার করা হচ্ছে আমি ছুটে ছুটে যাচ্ছি শ্রীরামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দের কাছে আমি যাচ্ছি ট্রটস্কির কাছে, মহামতি লেনিনের কাছে, মাওয়ের কাছে আমার বন্দুকে ভোরে দাও গুলি আমি এর প্রতিশোধ নেবো। ধর্ষিতা আমার প্রিয়তমা দেশ ধর্ষিতা ভারত মাতা কোথায় যাচ্ছি আমরা? সন্দীপ চক্রবর্তী শ্রীরামপুর ২৮/১/২০২৪